লিচুর কথা
দৃষ্টিনন্দন ও সুস্বাদু
ফল লিচু। বাংলাদেশেই রয়েছে নানা প্রজাতির লিচু। অতি উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়ামের
বসবাস এই ফলে। ক্যালসিয়াম এমন একটি খাদ্য উপকরণ, যা হাড় , দাঁত , চুল, ত্বক, নখের
জন্য ভীষণ জরুরি। বয়স্ক নারী যাঁদের মেনোপোজ (ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়ে গেছে,
তাঁদের জন্য লিচু যথেষ্ট উপকার।ি কারণ এসব নারীদের অতিমাত্রায় ক্যালসিয়ামের অভাব
হয়। পরিণতিতে দাঁত, হাঁড়, চুল, ত্বক, নখ দুর্বল হয়ে যায। অতি উচাচমাত্রার ভিটামিন ‘সি’র
আশ্রয়স্থল এই ফল। ভিটামিন ‘সি’ মৌসুমি অসুখগুলো থেকে রক্ষা করে, ত্বক, চুলের পুষ্টি জোগায়্ প্রচন্ড ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট
রশ্নি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এতে রয়েছে নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন নামক ভিটামিন ‘ব’
কমপ্লেক্স। ভিটামিন ‘বি’ করপ্লেক্স শরীরের জ্বালা পোড়া, দুর্বলতা দূর করে। লিচুর
ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা কর্ণিযার অসুখ, চোখ ওঠা, চোখের কোনা ফুলে লাল হযে যাওয়া,
জ্বরঠোসা (জ্বরের পরে ঠোটের দুই কোণাতে বা উপরে নিচে য়া হয়), জিহ্বার য়া, জিহ্বার
চামড়া ছিলে যাওয়া এই রোগগুলো প্রতিরোধ করে। লিচু, তরমুজ, কাঁাঠাল-এগুলো গরম ফল।
বেশি খেলে পেট গরম হয়ে ডায়রিয়া হবে যাবে। তাই নিয়মিত (যত দিন লিচু পাওয়া যায়) ও
পরিমিত খাওয়াই শ্রেয়। আর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য
অতিরিক্ত মিষ্টি লিচু পরিহার করা উত্তম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন