রসালো কাঁঠাল
অতি উচ্চমাত্রার পটাশিয়ামে ভরপুর কাঁঠাল। শরীরের
জন্য প্রযোজনীয় পানির সাম্যাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে উপাদানটি। প্রচন্ড গরমে আমাদের
শরীর থেকে যে লবন-পানি ঘাম আকারে বের হয়ে যায়, তা পূরণ করে পটাশিয়াম। উচ্চরক্তচাপ
কমাতেও এটা কার্যকর। অর্থাৎ শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় লবন বের করে দেয়। ফলে নিয়ন্ত্রিত
হয় রক্তচাপ। উচ্চমাত্রার কিলোক্যালরিও রয়েছে এই ফলে। ক্যালরি শরীরে কাজ করার শক্তি
তৈরি করে। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ ও আছে প্রচুর কাঁঠালে। এই উপাদানগুলো ত্বক ও
চুলের উপর কাজ করে। রং ফরসা করে, মুখ, তালু, জিহ্বা, গলাসহ প্রোষ্টেট, ফুসফুস,
নাররি জননতন্ত্রের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই ফল। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর
পরিমানে আঁশ। এই আশকে বলে ডায়াটারি ফাইবার। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর
ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আমাদের শরীরে রক্ত তৈরি করে ফরিক এসিড, ফোলেট
ও আয়রন নামের উপকরণ। এই উপকরণগুলো রয়েছে কাঁঠালে। এই ফলের আমিষ বা প্রোচিন
মাংসপেশিকে করে শক্তিশালী, শর্করা শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রেখে কাজ করার শক্তি দেয।
কাঁঠারৈ যে চিনি রয়েছে, তা ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়।
তবে ানিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের রোগীদের অতিরিক্ত মিষ্টি কাঁঠাল পরিহার
করাই শ্রেয়। তবে বেশি পুষ্টির আশায় অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে বদহজম বা ডায়রিয়া হব্
পাকা কাঁঠাল দ্রুত নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে খেয়ে নেওয়াই শ্রেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন